Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার পটভূমি

 

জীবননগর একটি ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা। নদীয়া কাহিনী ২৭২ পৃষ্ঠা হতে জানা যায়- ১৬৬০-৬৫ সালের  সময় জীবন খাঁ নামে এক ভয়ংকর ডাকাত এ অঞ্চলে আস্থানা গাড়ে, তখন এ অঞ্চল গভীর বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ এবং বাঘের আবাসস্থল ছিল। পাশে ছিল ভৈরব নদী, যা এখন মৃত । বৃটিশরা ১৭৭৩ সালে ভারতবর্ষ দখলের পর এই সব ডাকাতদের রবিনহুড স্টাইলে মহৎ দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। জীবন খাঁ ডাকাত কে রিবনহুডের মতো মহৎ ব্যক্তি বিবেচনা করে তার নামে এই এলাকার নাম জীবননগর রাখে। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৩ সালে জীবননগরকে থানা হিসাবে এবং বাংলাদেশ আমলে ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে উন্নীত করা হয়। এ উপজেলার উত্তরে-চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা,আলমডাঙ্গা উপজেলা,এবংদামুড়হুডা উপজেলা পূর্বে-কোটচাঁদপুর উপজেলা, দক্ষিণে- মহেশপুর উপজেলা , পশ্চিমে-ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা। এ উপজেলা আয়তন-২০০ বর্গ কিমি, ভৌগলিক অবস্থান ২৩°২২´ থেকে ২৩°৩১´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৫´ থেকে ৮৮°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ । চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হতে দূরত্ব- ৩২ কিলোমিটার। এ উপজেলার মোট ইউনিয়ন- ৮টি, মৌজা-৭০টি এবং গ্রামের সংখ্যা-২০০টি। মহান মুক্তিযুদ্ধ কালে এ  উপজেলার ধোপাখালী সীমান্তের জিরো পয়েন্টে সাবেক সেনা প্রধান মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতত্বে এক গুরুত্বপুর্ণ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এতে ৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং জনাব মোস্তাফিজুর রহমান গুরুতর আহত হন। এ উপজেলায় স্মৃতি বিজড়িত স্থান হিসেবে রয়েছে- কাশীপুর গ্রামে অতীতের রাজা/জমিদার শিবচন্দ্র নারায়ন এর জমিদার বাড়ী,যা কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের মামাবাড়ি নামে পরিচিতি, আন্দুলবাড়িয়া পীরের দরগা শরীফ, ধোপাখালী গ্রামে ২০০ বছরের পুরাতন সাহী মসজিদ, মাধবখালী সীমান্তে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থান।